Notice! Hello! Dear visitor we are developing our site. For this reason may be you face some problem. We are sorry for that. But we are trying to complete our work quickly. Thank you.

Need for Speed: Wanted Cheat Codes

Posted Posted by Tanvir ahmed in Comments 0 comments


Cheat Codes
Up, Up, Down, Down, Left, Right, Up, Down-------------Unlocks Junkman Engine Part
Left, Right, Left, Right, Up, Down, Up, Down ------------Unlocks Syntec Ford GT
Up, Down, Up, Down, Left, Right, Left, Right------------Unlocks Burger King Challenge

Need for Speed: Wanted Unlockables

Unlockable Cars:

Unlockable
How to Unlock
Lotus Elise
Beat Blacklist Boss #8
Lexus IS300
Automatic
Lamborguini Murciélago
Beat Blacklist Boss #4
Lamborguini Gallardo
Beat Blacklist Boss #6
Mustang GT
Beat Blacklist Boss #12
Ford GT
Beat Blacklist Boss #4
Fiat Punto
Automatic
Dodge Viper SRT 10
Beat Blacklist Boss #6
Corvette C6.R
Complete 100% of the game
Corvette C6
Beat Blacklist Boss #5
Chevrolet Cobalt SS
Automatic
Cadillac CTS
Beat Blacklist Boss #12
BMW GTR (Race version)
Beat Blacklist Boss #1
Audi TT 3.2 Quattro
Beat Blacklist Boss # 15
Audi A4 3.2 FSI Quattro
Beat Blacklist Boss #14
Audi A3 3.2 Quattro
Beat Blacklist Boss #15
Aston Martin DB9
Beat Blacklist Boss #7
Mazda RX-7
Beat Blacklist Boss #9
Mazda RX-8
Beat Blacklist Boss #12
Mercedes-Benz CLK 500
Beat Blacklist Boss #8
Mercedes-Benz SL 500
Beat Blacklist Boss #11
Mercedes-Benz SLR McLaren
Beat Blacklist Boss #3
Mitsubishi Eclipse
Beat Blacklist Boss #14
Mitsubishi Lancer Evolution VIII
Beat Blacklist Boss #11
Pontiac GTO
Beat Blacklist Boss #10
Porsche 911 Carrera S
Beat Blacklist Boss #7
Porsche 911 Turbo S
Beat Blacklist Boss #5
Porsche Carrera GT
Beat Blacklist Boss #3
Porsche Cayman S
Beat Blacklist Boss #10
Renault Clio V6
Beat Blacklist Boss #13
Subaru Impreza WRX STi
Beat Blacklist Boss #9
Toyota Supra
Beat Blacklist Boss #13
Vauxhall Monaro VXR
Beat Blacklist Boss #10
Volkswagen Golf GTI
Automatic


How To Unlock The Different Heat Levels

You will start campaign mode only being able to only
achieve Heat levels 1 and 2 (City Police). By defeating certain
Blacklist Rivals, you can then achieve the higher Heat Levels.


Unlockable
How to Unlock
Heat Level #3
Defeat the Blacklist #13 rival
Heat Level #4
Defeat the Blacklist #9 rival
Heat Level #5
Defeat the Blacklist #5 rival.
Heat Level #6
On the final challenge (Challenge Series mode) and on the final level        of Campaign Mode. Sgt. Cross joins in the pursuit.


To Unlock New areas to Race

Beat These Blacklist Racers to get newer areas to drive.
Unlockable
       How to Unlock
Camden Beach
          Beat the #13 on the Blacklist
Rockport City
          Beat the #9 on the Blacklist














বাসের ফুল

Posted Posted by Tanvir ahmed in Comments 0 comments


আমরা সকলেই একথাটা জানি যে কোন বাসের বয়স ১০০ বছর (প্রায়) হওয়ার আগে ঐ বাসে ফুল আসে না। আগে বাসের ফুল প্রায় জায়গায়ই দেখা গেলেও এখন আর বাসের ফুল দেখা যায় না।
তবে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ জেলার মাইজ গাঁও ইউনিয়নে একটি বাসের ঝাড়ের কিছু বাসে ফুলগুলো দেখা যায়  এবং সেখান থেকেই ছবিটি তুলা।

জালালী কবুতর

Posted Posted by Tanvir ahmed in Comments 0 comments

         ছবিটি হযরত শাহজালাল (রঃ)-এর মাজার থেকে তুলা।
Posted Posted by Tanvir ahmed in Comments 0 comments

 
ছবিটি সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ জেলার ছোট একটি পাহাড় (টিলা) থেকে তুলা।
Posted Posted by Tanvir ahmed in Comments 0 comments

জয়যাত্রা
ফয়সাল আহমেদ

ইদানিং প্রায়ই মধ্যরাতে ঘুম ভেঙ্গে যায় আমার। কে যেন আমায় ডাকে। আজহার ওঠো, ওঠো আজহার, জেগে ওঠো সমগ্র শক্তি নিয়ে। কোন ভয়ে ভীত হয়ো না আমরা আছি তোমার সাথে- তুমি একা নও আমরা সংখ্যায় অনেক। কে? কে? শব্দ করে ঘুম থেকে জেগে উঠি। দু’ চোখ কচলাতে কচলাতে চারপাশে তাকিয়ে দেখি কেই নেই। পরক্ষণেই আবার চুপষে যাই কারণ আমার চিৎকারে পাশের রুমে ঘুমিয়ে থাকা বাবা মা আবার জেগে না উঠেন। গত ক’দিনের মতো আজ রাতেও গভীর ঘুম থেকে জেগে উঠেছি। শরীর থেকে প্রচন্ড ঘাম ঝড়ছে। রাতে যে টি শার্ট টি গায়ে জড়িয়ে শুয়ে ছিলাম সেটিও দেখি শরিরে নেই। কোথায় গেলো? মশারির ভিতর থেকে হাত বাড়িয়ে পাশে টেবিলের উপরে রাখা ল্যাম্পটি অন করলাম। ল্যাম্পের আলোয় লক্ষ করলাম টি শার্ট টি আমার পায়ের কাছে পড়ে আছে। কিন্তু ঘামছি কেন? এভাবে ঘামার তো কথা নয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পাশের রুম থেকে বাবা বলছেন কে? আজহার উঠেছিস? খুব গরম লাগছে না?
তোর রুমের ফ্যানটা বন্ধ ওটা ছেড়ে দে। আজ খুব গরম পড়েছে।
ধারণা করলাম ফ্যানটা বন্ধ থাকার কারণেই শরির এভাবে ঘেমেছে। বিছানা থেকে নেমে ফ্যানের সুইচটা অন করে আবার বিছানায় গেলাম। কিছুক্ষণ এপাশ ওপাশ করে ঘুম না আসায় আবার বিছানা থেকে নেমে টেবিলে বসলাম, ল্যাম্পের সুইচটা অন করতেই চোখে পড়ল মাওলানা আবুল কালাম আজাদ এঁর লেখা-ভারত স্বাধীন হল বইটি। সাম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় তাঁর পূর্ব প্রকাশিত স্বাক্ষাতকার ছাপা হয়। তা পড়েই ঢাকার  নীলক্ষেত থেকে আমি তাঁর লেখা এই বইটি সংগ্রহ করি অত্যান্ত্য আগ্রহ সহকারে।  বইটি পরতে পরতে হঠৎ লক্ষ করলাম- দু’ চোখ ঘুমে জড়িয়ে যাচ্ছে। ল্যাম্পের সুইচটা অফ করে যখন উঠতে যাবো এমন সময় নজরে পড়লো একটি চিঠি। সাদা লম্বা খামের উপরে সংক্ষিপ্ত আকারে লেখা আজহার কান্দাইল,জয়কা, করিমগঞ্জ। খামটা খুলার আগেই ঠিক বুঝতে পারলাম চিঠিটা আতিকের পাঠানো। কিন্তু আতিক! এতদিন পর! শেষ কবে যে যোগাযোগ হয়েছিল তাও মনে নেই। ওই আমার একমাত্র বন্ধু যে কিনা আমার নামের আগে সৈয়দ শব্দটি কখনই ব্যবহার করেনা- কি বলতে কি লিখতে। কতবার বলতাম ওর এক কথা ও সব বংশীয় উপাধি আমার ভালো লাগে না। এসব উপাধি মানুষে মানুষে বৈষম্য তৈরি করে বিভেদ সৃষ্টি হয়। কিন্তু মানুষে মানুষে কোন বৈষম্য - বিভেদ থাকতে পারে না।
হাইস্কুলে ম্যাট্রিক পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে আমাকে মানপত্র পাঠ করতে বলা হল। আমি পাঠ করলাম। আর আতিক আবৃত্তি করলো স্বরচিত কবিতা। হাততালি দিয়ে ওকে সবাই অভিনন্দিত করলো অবচেতন ভাবে আমিও । অনুষ্ঠান শেষে যেচে গিয়ে ওর সাথে কথা বললাম।  সেদিন ই আতিকের সাথে আমার প্রথম কথা এবং পরিচয়। তরপর থেকে প্রতিদন কথা হতো। এক সময় আবিস্কার করলাম আমরা দু’ জন খুব কাছের বন্ধু!। মেট্রিক পাশ করে আতিক চলে গেল শহরের কলেজে তার বাবার ইচ্ছায়। সেদিন আমার এবং আমার বাবার ইচ্ছা থাকা সত্যেও আমি শহরের কলেজে ভর্তি হতে পারিনি। তাই বলে আতিকের সাথে আমার যোগাযোগ বন্ধ হয়নি। নিয়মিত চিঠি লিখতো আতিক। মাঝে মাঝে আমিও শহরে গিয়ে আতিককে দেখে আসতাম। ইন্টারমিডিয়েটে আতিক ভালো রেজাল্ট করলো চলে গেলো ঢাকায়। ভর্তি হল বিশ্ববিদ্যালয়ে। আর আমি গ্রাম ছেড়ে শহরের কলেজে অনার্সে ভর্তি হলাম। আতিক অবশ্য চেয়ে ছিলো আমিও যেনো ওর সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি। কয়েকবার ও বলেও ছিল টাকার কথা চিন্তা করিসনা ও সব আমি দেখবো। কিন্তু আমি চাইনি, চাইনি কারণ কারো অনুগ্রহ আমার পছন্দ নয় নিজ যোগ্যতায় যতটুকু হয় তাতেই আমি সন্তুষ্ট।  আতিক ঢাকায় যাওয়ার পর থেকে একটু একটু করে ওর সাথে আমার দূরত্ব তৈরি হতে লাগলো। তবে এ দুরত্ব মনের নয়। মাস ছয়েক পর কলেজ হোস্টেলের ঠিকানায় আমার একটি চিঠি এলো। হাতে নিয়ে দেখি আতিকের চিঠি।
প্রিয় আজহার,
          কেমন আছিস। আনেকদিন হয় তোর সাথে আমার যোগাযোগ নেই। এজন্য মানসিক কষ্ট অনুভব করছি। তাই এ পত্র লেখা। ঢাকায় এসে একটা স্টাডিসার্কেলে যোগ দিয়েছি। ওখানে আমাদের ডির্পাটমেন্টের সাত আট জন ছেলে মেয়ে আছে। ওরা খুব আন্তরিক তাই সহজেই ওদের সাথে আমার সু-সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। ওদের মধ্যে একটি মেয়ে নাম তৃষা ও আমার বিষয়ে খুব আগ্রহী নানা ভাবে আমার সাথে খাতির জমানোর চেষ্টা করছে। বড় লোকের মেয়ে টাকা পয়সা আমাদের চেয়ে কম নয়। বরং অনেক বেশী। আমি চিন্তা করছি ওর সাথে বন্ধুত্ব করবো কিনা ।  তুই কি বলিশ?
শুভ সময় কাটুক।
আতিক
ঢাকা।
আতিকের এই হলো এক স্বভাব হঠাৎ চিঠির সমাপ্তি। সব চিঠিতে ও এ রকমই করে। মনে হয় কবি গুরুর ছোট গল্পের সংজ্ঞার মতো- শেষ হইয়াও হইলো না শেষ। চিঠি দিয়েছে ঠিক কিন্তু ঠিকানা লেখা নাই কিভাবে উত্তর দেই। পরীক্ষার চাপে আবার ভুলে গেলাম আতিকের কথা। যেমন টা হয় চোখের আড়াল হলে। পরীক্ষা শেষ বাড়ি ফিরবো তাই ব্যাগ গুছাচ্ছি। এমন সময় আমার রুমমেট একটি খাম হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলল আজহার তোমার চিঠি।
চিঠি?
চিঠিটা আতিকের।
প্রিয় আজহার
          ঠিকানা দেইনি বলে উত্তর দিতে পারিশনি সে আমি জানি। সত্যি বলতে কি আমার নির্দিষ্ট কোন ঠিকানা নেই আজ এখানে তো কাল ওখানে। তোর মত আমার হয়তো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণের সৌভাগ্য নেই। যে কারণে প্রথম বর্ষ পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ ও হলো না। সুযোগ হলনা বলতে আমি ইচ্ছা করে অংশ গ্রহণ করিনি।  চিঠির এ পর্যন্ত পড়ে তুই নিশ্চই কষ্ট পেয়েছিস খুব! আমি জানি তুই কষ্ট পাবি কারণ তুই আমাকে ভালোবাসিস। আমি কমিউনিস্ট আনন্দোলনের সাথে জড়িত একটা গ্রুপের সাথে যোগ দিয়েছি। ও আর একটা কথা , বোধ করি তৃষা নামের মেয়েটি আমার জীবনের সাথে জড়িয়ে যাচ্ছে। আর অবচেতন ভাবে আমিও তার জীবনের সাথে।
শুভ কামনা রইল
আতিক ।
চিঠিটা পড়ে আমি অবাক হয়ে গেলাম। একি করলো আতিক, শেষ পর্যন্ত পড়াটা ছেড়েই দিলো! যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শতশত তরুণের স্বপ্ন সেখানে আতিক বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে চলে যায় অজানা এক দেশ মাতৃকার টানে। একি ভাবে সম্ভব। আমার হাত পা নিস্তেজ হয়ে আসে। বিছানায় গা এলিয়ে দেই। যখন জেগে উঠি তখন আর বাড়ি যাওয়ার সুযোগ নেই। কারণ তখন দিন গড়িয়ে গভীর রাত।
পরদিন সকালে বাড়ি গেলাম।  প্রায় মাস খানেক পর ফিরে এলাম হোস্টেলে এর মাঝে আতিকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলাম। কিন্তু আমার সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ হয়। কোন ভাবেই ওর সাথে যোগাযোগ করা গেলো না। দিন যায় রাত যায় সময় এগিয়ে যায় অজানার পথে- প্রায় ছয় মাস পর আতিকের আরো একটি  চিঠি পাই আমি। খামটা খুলে চিঠিটা পড়তে শুরু করলাম।
বন্ধু আজহার
          ভালো আছিস। খাম দেখে নিশ্চই বুঝতে পেরেছিস চিঠিটা আমার লেখা। এখনও চিঠি লেখাতেই আছি । যাদের সাথে যোগাযোগের প্রয়োজন পরে তাদের চিঠি লিখি। না সহজ লভ্য হওয়ার পরেও মুঠোফোন আজও সংগ্রহ করিনি। কেন জানি এই যন্ত্রটার প্রতি আমার কোন আগ্রহ তৈরি হয় না। গত মাসে তৃষা নোকিয়া ঘ-৭০ সিরিজের একটি মুঠোফোন সাথে তিনটি অপারেটরের তিনটি সিম ও একটি লাল গোলাপ আমার ঠিকানায় পাঠালো। সাতদিন আগে শুধু ফুলটি রেখে মুঠোফোনের প্যাকেটটি ফেরত পাঠিয়েছি। তাতে তৃষা খুব দুঃখ পেয়েছে, সেকথা চিঠিতে লিখে আমাকে জানিয়েছে। আমিও জানতাম সে দুঃখ  পাবে কিন্তু আমি অপারগ যে দেশের কোটি মানুষ খোলা আকাশের নিচে নির্ঘুম রাতকাটায় খেতে না পেয়ে অভুক্ত থাকে, ক্ষুধার্থ মায়ের বুক থেকে দুধ খেতে না পেয়ে চিৎকার করতে করতে শিশুটি সেই মায়ের বুকে আবার ঘুমিয়ে পড়ে সে দেশে আর যাই হোক আমি অন্তত  হাজার টাকার দামি মুঠোফোন ব্যবহার করতে পারি না। মানুষের মুক্তির জন্যে যে যুদ্ধে নেমেছি সেই যুদ্ধে যদি সফল হই তাহলে অবশ্যই অন্য সবার মত আমিও একদিন এসব ব্যবহার করবো। এতোদিনে নিশ্চই তোর মনে প্রশ্ন জেগেছে আমি কোথায়? চিন্তা  করিস না  আমি আছি মানুষের মাঝে। মানুষের সাথে লড়াই আর সংগ্রামে।
ভালো থেকো বন্ধু
আতিক ।
সেদিনের সেই চিঠির পর কয়েক বছর পেরিয়ে আজ আবার পেলাম আতিকের চিঠি। কিন্তু আতিকের চিঠি এসেছে একথা আমাকে আগে কেউ বলেনি কেন? মধ্য রাতে আমাকে আতিকের চিঠির কথা জানতে হয়। যার চিঠির প্রতি আমার এত আগ্রহ সেই চিঠি কেন নীরবে টেবিলে পড়ে থাকবে। আতিকের চিঠি এসেছে বাবা-মা-অনিক কেউ আমাকে একথা জানাতে পারলো না ? আমার আর তর সইছে না তারা তারি খামটি খুলে চিঠিটি পড়তে শুরু করলাম।
প্রিয় সুহৃদ
আজহার
আর কত ঘুমিয়ে থাকবি, এবার জেগে ওঠ । এই ধরায় এত বৈষম্য অনাচার দেখেও কি তোর ঘুম ভাংগে না। জেগে উঠ আজহার সমগ্র শক্তি নিয়ে। শ্রেণীহীন শোষিত মানুষের পাশে এসে দাঁড়া । না হয় অপরাধী হয়ে থাকবি আজীবন। কোন ভয়ে তুই ভীত হোসনা। আমরা অনেক, জয় আমাদের হবেই।
এই প্রত্যাশায় তোর প্রিয় বন্ধু
আতিক ।


ফয়সাল আহমেদ- গল্পকার, সংগঠক, কিশোরগঞ্জ।
Foysal84@gmail.com

চন্দ্রাবতী ও তাঁর শিবমন্দির

Posted Posted by Tanvir ahmed in Comments 0 comments


    চন্দ্রাবতী ও তাঁর শিবমন্দির
  -ফয়সাল আহমেদ


ছুটির দিনেও নাকি এখন আর অবসর মেলেনা ,সবাই ব্যস্ত যে যার মত কাজের যেন শেষ নেই কারো। সেখানে দূরে কোথাও অবকাশ যাপন সেতো চিন্তারও বাইরে। এরপরেও যারা ভ্রমণপ্রেমি,ইতিহাস সন্ধানী,তারা ঠিক সময় পেলে কিংবা কখনও কখনও সময় করে বেরিয়ে পরে প্রকৃতির রুপ-রহস্য জানতে,ঐতিহাসিক স্থান,স্থাপত্যশৈলী দর্শণে। কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের মাইজকাপন ইউনিয়নে রয়েছে তেমনি এক নিদর্শন বাংলা সাহিত্যের আদিকবি চন্দ্রাবতীর স্মৃতিবিজড়িত শিব মন্দির। রাজধানী ঢাকা থেকে সড়ক ও রেল পথে খুব সহজে যাওয়া যায় সেখানে।
ষোড়শ শতকের মনসা মঙ্গলের কবি দ্বিজ বংশীদাসের কন্যা  চন্দ্রাবতী। তাঁর মায়ের নাম সুলোচনা। কালজয়ী এই মহিলা কবির জন্ম বর্তমান কিশোরগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার মাইজকাপন ইউনিয়নের পাতুয়াইর গ্রামে। কবি চন্দ্রাবতীকে বলা হয়ে থাকে বাংলা ভাষার প্রথম মহিলা কবি। অবশ্য ড. আহমদ শরীফের মতে চন্দ্রাবতী সম্ববত বাংলা ভাষায় দ্বিতীয় মহিলা কবি। প্রথম কবি চৈতন্যদেবের কালের মাধবী। কবিতার মাধ্যমে কবি চন্দ্রাবতী    তার নিজের পরিচয় দিয়েছেন এভাবেÑ
‘ধারাস্রোতে ফুলেশ্বরী নদী বহি যায়।
বসতি যাদবানন্দ করেন তথায় ॥                                                        
ভট্টাচার্য ঘরে জন্ম অঞ্জণা ঘরণী।
বাঁশের পাল্লায় তালপাতার ছাউনি ॥
ঘট বসাইয়া সদা পূজে মনসায়।
কোপ করি সেই হেতু লক্ষী ছাড়ি যায় ॥
দ্বিজবংশী বড় হৈল মনসার বরে।
ভাসান গাইয়া যিনি বিখ্যাত সংসারে’ ॥
চন্দ্রাবতীর রচনা আজ সারাবিশ্বে আলোচিত। পৃথিবীর একুশটি ভাষায় তাঁর লেখা অনুদিত হয়েছে। এখানেই থেমে নেই, কবি চন্দ্রাবতীর রচনা নিয়ে গবেষণা হচ্ছে পৃথিবীর নানা দেশে। বিদেশী গবেষকবৃন্দ প্রায়ই আসছেন কবির তীর্থভূমি কিশোরগঞ্জে। অসাধারণ প্রতিভাময়ী এই কবি ছিলেন পরমা সুন্দরী। ছিলেন রোমানন্টিক মনের অধীকারীও। ভালবাসতেন শৈশবের সাথী জয়ানন্দ নামের এক ব্রাহ্মণ যুবককে। এক পর্যায়ে তাঁদের বিবাহের প্রস্তুতিও চলে। কিন্তু জয়ানন্দ এক মুসলমান নারীর প্রেমে পড়ে ধর্মান্তরিত হন। ভেঙ্গে যায় চন্দাবতীর হৃদয়। এমন অবস্থায় তিনি পিতা দ্বিজ বংশীদাসের কাছে দুটি প্রার্থনা করেনÑএক ফুলেশ্বরী নদীর তীরে মন্দির স্থাপন, অন্যটি হলোÑচিরকুমারী থাকার ইচ্ছাÑ
চন্দ্রবতী বলে ‘পিতা সম বাক্য ধর।
জন্মে না করিব বিয়া রইব আইবর ॥
শিবপুজা করি আমি শিবপদে মতি।
দুঃখিনীর কথা রাখ কর অনুমতি’ ॥
অনুমতি দিয়া পিতা কয় কন্যার স্থানে।
‘শিবপুজা কর আর লেখ রামায়নে’ ॥
ফুলেশ্বরী নদীর তীরে শিবমন্দির স্থাপনের পরে শিবপুজা আর রামায়ন লেখায় ব্যাস্ত হয়ে পরেন  চন্দ্রাবতী। এক সময় জয়ানন্দ তাঁর ভুল বুঝতে পেরে চন্দ্রাবতীকে এক নজর দেখার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করলেন। পিতার অনুমতি না থাকায় চন্দ্রাবতী জয়ানন্দকে সাক্ষাত দিতে পারেননি। ব্যার্থ জয়ানন্দ চন্দ্রার মন্দিরের কপাটে ফুলের রস দিয়ে লিখেন -
‘শৈশব কালের সঙ্গি তুমি যৌবনকালের সাথী ।
অপরাধ ক্ষমা কর তুমি চন্দ্রাবতী’ ॥           
পরে চন্দ্রাবতী মন্দিরের কপাট খুলে জয়ানন্দের এ লেখা দেখতে পান। উক্ত লেখা ধুয়ার জন্য নদীর ঘাটে জল আনতে গিয়ে দেখেন নদীর জলে ভাসছে জয়ানন্দের মৃতদেহ। তার পরের ঘটনা- প্রেমিক জয়ানন্দের মৃত্যুতে অনুশোচনায় দগ্ধ চন্দ্রাবতী ও ফুলেশ্বরীর জলে ঝাঁপিয়ে পরেন। আবার কারো কারো মতে জয়ানন্দের মৃত্যুর অল্প কিছুদিন পরেই অনুতপ্ত চন্দ্রাবতী দেহত্যাগ করেন। আজ চন্দ্রাবতী নেই, নেই এক সময়ের খরস্রোতা নদী ফুলেশ্বরী ও কিন্তু নদী তীরে প্রতিষ্ঠিত শিবমন্দিরটি ঠিক দাঁড়িয়ে আছে কালের সাক্ষী হিসেবে।  এটিকে এক নজর দেখার জন্য দেশের নানা প্রান্ত থেকে প্রতিদিন দর্শণার্থীরা আসেন।
মন্দির সংলগ্ন স্থানে স্থাপিত হয়েছে কবি চন্দ্রাবতী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয় মাঠে প্রতি বছর বৈশাখ মাসের এক তারিখ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। কবি চন্দ্রাবতীর স্মৃতিকে ধরে রাখার উদ্দেশ্যে এলাকার তরুণদের উদ্যোগে গড়ে তোলা হয়েছে চন্দ্রাবতী স্মৃতি সংসদ।
 স্থানিয় বাসিন্দা আব্দুল হেকিম (৬০) বলেন শতশত বছরের এই পুরান কাহিনির বিষয়ে আমরা বেশি জানিনা ,তবে জানা দরহার। শিব মন্দিরের উন্নয়ন কাজ সম্পর্কে তিনি বলেন লোকজন আয়া মাফজোক নিয়া গেছে কিন্তু কাম অহনও শুরু অইছেনা ।
শিব মন্দিরের পাশের টংদোকানদার হুমায়ুন বলে বিদেশ থাইক্কা লোকজন আয়ে এহানে মন্দির দেখতো কিন্তু কোনো কাম অয়না।
স্থানিয় দৈনিক শতাব্দীর কণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক আহমেদ উল্লা বলেন, দিনে দিনে কবি চন্দ্রাবতীর স্মৃতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। অনেক উদ্দ্যোগের কথা শুনেছি কিন্তু কাজ হচ্ছে না। জরুরি ভিত্তিতে এর সংস্কার দরকার। সাথে সাথে  কিশোরগঞ্জ জেলা সদর থেকে চন্দ্রাবতীর বাড়ী পযর্ন্ত সড়ক সংস্কার করা প্রয়োজন।
এ সম্পর্কে কথা বলেছিলাম সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকির সাথে তিনি বলেন চন্দ্রাবতীর স্মৃতিবিজড়িত শিব মন্দির ও সংশ্লিষ্ট জায়গার মালিকানা এখন আর্কিওলজি বিভাগের হাতে। সেজন্য ইচ্ছা করলেই সেখানে কোন উন্নয়ন কাজ করা যাচ্ছে না। আমি তাদের সাথে বারবার যোগাযোগ করেছি কিন্তু তাদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সারা পাচ্ছি না । তবে আমি আশা করি খুব শিঘ্রি এর উন্নয়নের কাজে হাত দেওয়া হবে কারণ সে বিষয়ে মানণীয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর আগ্রহ রয়েছে।
সাহিত্যের মাধ্যমে চন্দ্রাবতীকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন ছোট কাগজ ‘ চন্দ্রাবতী’র সম্পাদক কবি বাসিরুল আমিন তিনি জানান, চন্দ্রাবতীর শিব মন্দির সংস্কার সরকারকে অধিক গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত। সরকারের নজর নাথাকায় মন্দিরের অনেক মূল্যবান জিনিস চুরি হয়েছে। দ্রুত চন্দ্রাবতীর স্মৃতিবিজড়িত শিব মন্দির ও সংশ্লিষ্ট এলাকাকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা উচিত।
 

ফয়সাল আহমেদ
কিশোরগঞ্জ।
মোবাইল ঃ ০১৯১৯-৫৮০০৯৩

একটি চমৎকার সূর্যাস্থ

Posted Posted by Tanvir ahmed in Comments 0 comments


 একটি চমৎকার সূর্যাস্থ।
 ছবিটি কিশোরগঞ্জ জেলার বত্রিশ এলাকা থেকে তুলা।

একটি গাছের দুইটি কথা

Posted Posted by Tanvir ahmed in Comments 0 comments

এটি কিশোরগঞ্জ জেলার প্রায় শেষ দিকে মুশল্লী ইউনিয়নের কালীগঞ্জ গ্রামে অবস্থিত একটি গাছ। একসময় ঐখানকার মানুষ এ গাছটিকে একটি ভয়ংকর গাছ বলে মনে করত। তাদের ধারনা ছিল এখানে জিন-ভুত বসবাস করত। এটি অনেক পুরনো একটি গাছ। এখানে অনেকে আতœহত্যাও করেছে। ঐসময় ঐখানকার মানুষ ঐ গাছের পাশ দিয়ে দিনের বেলায়ও আসা-যাওয়া করত না। তবে এখন সময়ের পরিবর্তনে ঐ গাছের পাশের অনাবাদি জমিতেও চাষাবাদ করছে ঐখানকার মানুষ। কিন্তুু এখন প্রাকৃতিক এবং মানবসৃষ্ট বিবিন্ন কারণে গাছটি প্রায় ধ্বংষের পথে।






Blogroll

Check Page Rank of your Web site pages instantly:

This page rank checking tool is powered by Page Rank Checker service